প্রত্যয় কথাটির আভিধানিক অর্থ "বিশ্বাস"।
অথচ প্রত্যয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সেই বিশ্বাস টা কোথায় যেন আমরা হারিয়ে ফেলি। প্রত্যয় ব্যাকরণের সেই অধ্যায় যেখানে বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রী হয় মুখস্ত করে, না হয় এড়িয়ে যায়। আয়ত্ব করার ক্ষেত্রে অনীহা লক্ষ্য করা যায়। যার অন্যতম প্রধান কারণ প্রত্যয়ের আপাত জটিলতা। আমরা সহজে কি ভাবে প্রত্যয় মনে রাখা যায় তার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য দেখবো-
বাংলা ব্যাকরণে "য" (কৃৎ প্রত্যয়)প্রত্যয় রূপে প্রচলিত তিনটি প্রত্যয় হল- ক্যপ, ণ্যৎ, যৎ।
ক্যপ:- কখন হয়----------
1. ঔচিত্য,আদেশ, যোগ্য অর্থে ব্যবহৃত হতে হবে
2. কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে ব্যবহৃত হতে হবে।
3. শব্দটি কৃদন্ত হতে হবে।
4. শব্দের শেষে "য" বা "য-ফলা" থাকতে হবে।
5. শব্দ টিকে বিশেষ্য হতে হবে।
যেমন- ভৃত্য - ভৃ+ক্যপ
যাকে ভরন করতে হয়- যোগ্য অর্থে।
বিশেষ্য
শেষে য- ফলা আছে।
একই রকম ভাবে শিষ্য- শাস+ ক্যপ
যে উপদেশের যোগ্য।
বিশেষ্য।
ণ্যৎ এবং যৎ তুলনা মূলক আলোচনার মাধ্যমে দেখা যাক-
1. ঔচিত্য,আদেশ, যোগ্য অর্থে ব্যবহৃত হতে হবে
2. কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে ব্যবহৃত হতে হবে।
3. শব্দটি কৃদন্ত হতে হবে।
4. শব্দের শেষে "য" বা "য-ফলা" থাকতে হবে।
5. শব্দ টি বিশেষণ হবে।
তাহলে কখন ণ্যৎ এবং কখন যৎ হবে-
1.ঋ- কারান্ত ধাতুর শেষে ণ্যৎ হবে।
কৃ+ণ্যৎ-কার্য
ধৃ+ণ্যৎ- ধার্য
ঋ ভিন্ন অন্যান্য স্বরান্ত ধাতুর উত্তর যৎ হয়।
ভূ+যৎ- ভব্য
পা+যৎ- পেয়
2. প-বর্গ বাদে ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর উত্তর "ণ্যৎ "হয়।
পঠ্+ণৎ-পাঠ্য
ভিদ্+ণৎ-ভেদ্য
প -বর্গান্ত ধাতু ও শক্ সহ্ ধাতুর উত্তর "যৎ "হয়
রম্+যৎ-রম্য
লভ্+যৎ-লভ্য
শক্+যৎ- শক্য
3. উপসর্গযুক্ত ব্যঞ্জনান্ত চর্,মদ্,গদ্ ধাতুর শেষে ণ্যৎ হয়।
বি-চর্+ণ্যৎ-বিচার্য
প্ৰ-মদ্+ণ্যৎ-প্রমাদ্য
উপসর্গ হীন ব্যঞ্জনান্ত চর্,মদ্,গদ্ ধাতুর শেষে যৎ হয়।
চর্+যৎ- চর্য
গদ্+যৎ-গদ্য
মদ্+যৎ-মদ্য