শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের প্রশ্নোত্তর
১) বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাহিনীকাব্য--শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
২) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
পুথি আবিষ্কৃত হয়--1909 সালে
৩)শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথিটি
আবিষ্কার করেন-বসন্ত রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ
৪) পুথিটি আবিষ্কৃত
হয়—বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের
বাসিন্দা শ্রীনিবাস আচার্যের পুত্র দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের
গোয়ালঘরের মাচা থেকে।
৫) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকাব্য 1916 সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয় শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকাব্য নামে।
৬) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
এর মুখবন্ধ লিখেছিলেন-রামেন্দ্রসুন্দর
ত্রিবেদী
৭) বসন্ত রঞ্জন
স্বসম্পাদিত শেষ সংস্করণ ছিল-চতুর্থতম
**সম্পাদিত শেষ
সংস্করণ কবে প্রকাশিত হয়-(১৯৪৯)
৮) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
কাব্যটি –তুলট কাগজের উপর
লেখা
৯) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
লিপিকারের সংখ্যা হল—তিন জন
১০) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে
মোট পদের সংখ্যা-418/415/419
১১) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে
মোট সংস্কৃত শ্লোকের সংখ্যা-১৬১ টি
মৌলিক শ্লোক ১৩৩ টি। ২৮
টি শ্লোক পূনর্ব্যবহার হয়েছে।
১২) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুঁথিটি বিশ্লেষণ করেন-রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
১৩) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
লিপি বিশ্লেষণ করে—শ্রীকৃষ্ণকীর্তন চতুর্দশ
শতকে লেখা বলে সিদ্ধান্ত জানান।
১৪) পুঁথিতে প্রাপ্ত চিরকুটে নাম ছিল--শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ
১৫) চিরকুটে যে
তারিখের উল্লেখ আছে--1089- ২৬
শে আশ্বিন ও ২১ শে অগ্রহায়ণ,১০৮৯ বঙ্গাব্দ ।
শ্রীকৃষ্ণ পঞ্চানন নামে এক ব্যক্তি ৯৫-১১০ নং পৃষ্ঠা মহারাজের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন, এবং পরে ফেরত দেন।
১৬) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
নাম নিয়ে প্রথম সংশয় প্রকাশ করেন—রমেশ বসু (পুঁথিটি প্রকাশের ১১ বছর পর ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে)
রমেশ বসুর মতে নাম হওয়া উচিৎ
“শ্রীকৃষ্ণপুরাণ”
১৭) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
নামের পরিবর্তে শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল নামের প্রস্তাব দেন-নলিনীনাথ দাশগুপ্ত
১৮) চন্ডীদাস সমস্যা
শীর্ষক প্রবন্ধটির রচয়িতা হলেন—সুকুমারসেন/মহম্মদ শহিদুল্লাহ
১৯)
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে
বড়ুচন্ডীদাস ভনিতা যরয়েছে--298 বার
*** চন্ডীদাস ভনিতা আছে-107 বার
*** অনন্তবড়ুচন্ডীদাসআছে--7 বার
২০) বড়ুচন্ডীদাস
কোন ধর্মমতে বিশ্বাসী ছিলেন-শাক্ত
২১) বড়ুচন্ডীদাস উপাস্য দেবীর নাম হলো--বাসুলি
২২) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
মোট খণ্ড আছে--13 টি ।
২৩) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
শেষ খন্ডের নাম--রাধাবিরহ
২৪) বৃহত্তম খন্ড হলো-দান
২৫) ক্ষুদ্রতম খন্ড
হলো--জন্ম
২৬ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কোন বাংলার একমাত্র
নিদর্শন—আদি মধ্য বাংলার
২৭) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন যে ছন্দে লেখা--মিশ্রবৃত্ত
২৮) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
যে রাগের সব থেকে বেশি পদ আছে -পাহাড়িয়া
২৯) বড়ুচন্ডীদাস
কোন রীতির কবি ছিলেন—বৈদর্ভী রীতির
৩০) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
কোন খণ্ডকে
প্রক্ষিপ্ত বলে মনে করা হয়—রাধাবিরহ
৩১)শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রাধাবিরহ খণ্ডকে প্রক্ষিপ্ত বলে মনে করেন---বিমানবিহারী মজুমদার
৩২) রমেশ বসুর মতে পুঁথিটির নাম হওয়া উচিত ছিল----শ্রীকৃষ্ণপুরান
৩৩) নলিনীনাথ
দাসগুপ্তের মতে পুঁথির নাম হওয়া
উচিতছিল---শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল
৩৪) বিমানবিহারী
মজুমদার এর মতে পদ্ধতির নাম হওয়া উচিত ছিল-রাধাকৃষ্ণধামালী
৩৫) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে
রাগরাগিনীর নাম আছে যত গুলি—32
৩৬) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
এর প্রধান তিনটি চরিত্র হলো-কৃষ্ণ ,রাধা ,বড়াই
৩৭) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
দুটি অপ্রধান চরিত্র হলো-জটিলা ,কুটিলা
৩৮) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে
রামায়ণের কয়টিচরিত্র হলো-রাম,রাবন,সীতা,সুগ্রীব,হনুমান
৩৯) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে
উল্লেখিত মহাভারতের কয়টি চরিত্র হলো-নারদ,যষোদা,বলভদ্র,যুধিষ্ঠির,কৃষ্ণ
৪০) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে
রাধার অপর নাম হল-চন্দ্রাবতী
৪১) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
শেষ খন্ড হলো-রাধাবিরহ
৪২) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
দুটি বিদেশি শব্দ হলো-মজুরি, মজুরিআ
৪৩) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের
খণ্ডিত পদের সংখ্যা হল-১৫টি
৪৪) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে
যতগুলি পদে ভণিতা পাওয়া যায় নি-৭ টি
৪৫) বড়ুচন্ডীদাসের
প্রকৃত নাম অনন্ত বলে দাবিকরেন-সুখময় মুখোপাধ্যায়
জন্মখন্ডের পদের সংখ্যা -৯টি
তাম্বুলখন্ড পদের সংখ্যা -২৬টি
দানখন্ডের পদের সংখ্যা-১১২টি
নৌকাখন্ডে পদের সংখ্যা-৩০টি
ভারখন্ডে পদের সংখ্যা -৩৭টি
বৃন্দাবনখণ্ডে পদের সংখ্যা-৩০টি
যমুনাখন্ড পদের সংখ্যা-৩৭টি
বানখন্ডে পদের সংখ্যা-৩৭টি
বংশীখন্ডে পদের সংখ্যা -৪১টি
রাধাবিরহে পদের সংখ্যা-69 টি
৪৬) শরৎ-ঋতুতে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের কাহিনী সমাপ্ত হয়
৪৭) বসন্ত ঋতুতে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের কাহিনী শুরু হয়
৪৮) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
কাব্যের কাহিনী বিস্তার-আড়াইবছর
৪৯) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে
যতগুলি পদে ধ্রুপদ নেই--৭৪পদে
৫০) শ্রীকৃষ্ণ
কীর্তনে প্রক্ষেপ আছে,এ নিয়ে প্রথম সংশয় প্রকাশ
করেন যোগেশ চন্দ্র বিদ্যানিধি ।