নিপাতন সন্ধি – যে সমস্ত শব্দ প্রচলিত সন্ধি
নিয়মে সন্ধিবদ্ধ নয় , অথচ সন্ধিবদ্ধপদ হিসাবে ভাষায় ব্যবহৃত হয় তাদের নিপাতন সন্ধি
বলে ।
এই সমস্ত সন্ধিগুলি নিয়ম বহির্ভূত ।
নিপাতন সন্ধি দুই প্রকার – (১) নিপাতনে সিদ্ধ
স্বরসন্ধি
(২) নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি
নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি
নিপাতন শব্দের অর্থ নিয়মবহির্ভূত। সুতরাং প্রচলিত স্বরসন্ধির নিয়মগুলিকে না
মেনে
যে সন্ধি হয় তাকে নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি বলে।
যেমন - কুল + অটা = কুলটা , গো + ইন্দ্ৰ = গবেন্দ্র , শুদ্ধ + ওদন =
শুদ্ধোদন
, সার + অঙ্গ = সারঙ্গ ,মার্ত + অণ্ড = মার্তণ্ড
, অক্ষ + উহিনী = অক্ষৌহিনী ,
বিম্ব + ওষ্ঠ = বিম্বোষ্ঠ , মনস্ + ঈষা = মনীষা ষট্ + দশ = ষোড়শ , তদ্ + কর = তস্কর , আ + পদ = আস্পদ
, দিব্ + লোক = দ্যুলোক , পুমস্ + লিঙ্গ = পুংলিঙ্গ ,পর + পর = পরস্পর ,সম + অর্থ = সমর্থ , বৃহৎ + পতি =
বৃহস্পতি
, গো + পদ = গোষ্পদ , প্র + উঢ় = প্রৌঢ় , গো + অক্ষ = গবাক্ষ , স্ব + ঈর = স্বৈর
নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি
ব্যঞ্জনসন্ধির নিয়ম ছাড়াই যে সন্ধি হয় তাকে নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি
বলে।
যেমন - বন + পতি = বনস্পতি , পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি , প্র + এষণ = প্রেষণ , রক্ত + ওষ্ঠ
=
রক্তোষ্ঠ , সীম + অন্ত = সীমন্ত
, হিনস্ + অ = সিংহ
, অষ্ট + দশ = অষ্টাদশ , বিশ্ব + মিত্র =
বিশ্বামিত্র
, হরি + চন্দ্র = হরিশ্চন্দ্র , আ + চর্য
= আশ্চর্য , প্রায় + চিত্ত =
প্রায়শ্চিত্ত
,পশ্চাৎ + অর্ধ = পশ্চার্ধ , এক + দশ = একাদশ