ভাষা শিক্ষণের নীতিসমূহ
শিক্ষণ - শিক্ষণ ও শিখন এক জিনিস নয় । প্রকৃতপক্ষে শিক্ষক যা করেন তাকে বলা হয় শিক্ষণ
এবং শিক্ষার্থীরা যা করে তাকে বলা হয় শিখন । আরও একটু পরিষ্কার ভাবে বললে বলা
যায়,
শিক্ষার্থীদের শিখনে সাহায্য করার জন্য তথ্য ও কৌশলসমূহের
সার্থক সমন্বয়ে গঠিত শিক্ষকনির্ভর পদ্ধতিই হলো শিক্ষণ ।
শিক্ষণ হলো একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যা শিক্ষক শিক্ষার্থী ও পাঠ্য বিষয়কে একত্র
করে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়েই সক্রিয় হন--শিক্ষক শিক্ষণ কাজটি করেন এবং
শিক্ষার্থী শিখন কাজটি করে ।
ভাষা শিক্ষণে শিখন তত্ত্বের প্রয়োগ-
১) থর্নডাইকের প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্ব - এই তত্ত্বকে কেন্দ্র করে তিনটি প্রধান সুত্র গড়ে উঠেছে । যথা----
ক) অনুশীলন সুত্র---শিক্ষার্থীর
শিখন প্রক্রিয়া তখনি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ওঠে, যখন সে বার বার অনুশীলনের বা চর্চার মাধ্যমে কোনো একটা বিষয়কে আয়ত্ত লাভ করে
।
খ) ফললাভের সুত্র--কাজের ফললাভের
ফলে শিক্ষার্থীদের মনে সন্তুষ্টি আসে । তাই সেই শিখন প্রক্রিয়া অনেক বেশি মজবুত ও
দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ওঠে, কিন্তু সেই কাজ
যদি শিক্ষার্থীর মনে বিরক্তির ভাব সঞ্চার করে তখন সেই শিখন ক্ষণস্থায়ী হয়ে ওঠে।
গ) প্রস্তুতির সূত্র - কোনো কিছু শিখনের জন্য
আগে মনকে তৈরি করে নিতে হবে । মন যদি সায় দেয় বা মন যদি কোনো কিছু শেখার জন্য
প্রস্তুত হয়ে ওঠে তবে সেই শিখন অনেক বেশি আনন্দের হয় আর শিক্ষার্থীর মনে তা
দীর্ঘদিন গেঁথে যায় । কিন্তু যে শিখন গ্রহণ করার জন্য শিক্ষার্থীর মন প্রস্তুত
থাকে না অর্থাৎ শিক্ষার্থীকে জোর করে কোনো কিছু শেখার জন্য চাপিয়ে দেওয়া হয় সেই
শিখন মোটেই শিক্ষার্থীর মনে দীর্ঘস্থায়ী হয় না ।
২) প্যাভলভের প্রাচীন অনুবর্তনবাদ - প্যাভলভের প্রাচীন
অনুবর্তনবাদের মূল বক্তব্য হলো,ছাত্র ও তার বিষয়বস্তুর
মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন। ছাত্রের সঙ্গে যদি তার বিষয়বস্তুর নিবিড় সম্পর্ক
রচনা না হয় তাহলে সেই শিক্ষণ প্রক্রিয়া ক্ষণস্থায়ী হয়ে ওঠে
৩) গেস্টান্টের অন্তর্দৃষ্টি তত্ত্ব - এই তত্ত্ব অনুসারে, কোনো সমস্যার উপর সমাধান সূত্র বের করতে হলে আগে সেই সমস্যার সমগ্র রূপটি
সম্পর্কে ধারণা গড়ে তুলতে হবে, এক্ষেত্রে খন্ড
খন্ড ধারণা গড়ে তুললে সমস্যার গভীরে প্রবেশ করা যাবে না বা সমস্যার কোন সুত্র বের
করা যাবে না ।কোনো সমস্যা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে করতে হঠাৎই তার সমাধান সূত্র
বের করে নিয়ে আসা যাবে। একেই বলে অন্তর্দৃষ্টি তত্ত্ব । এই তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে
কোন মানুষ তার প্রকৃত মানসিক ক্ষমতাকে বহু গুণ বাড়িয়ে তোলে । সত্যিকারের কোনো
বিষয়বস্তু সম্পর্কে তার সহজেই ধারণা জন্মায় ।
৪) কার্ট লিউইনের ফিল্ড থিয়োরি - কার্ট লিউইনের এই তত্ত্বের মূল বৈশিষ্ট্য হল---শিখনের ক্ষেত্রে দুই ধরণের
শক্তি কাজ করে । যথা --- সদর্থক বা ইতিবাচক শক্তি আর নঞর্থক বা নেতিবাচক শক্তি ।
কিছু শক্তি আছে যেগুলি ছাত্রদের একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভীষণভাবে সাহায্য
করে যেগুলিকে সদর্থক শক্তি বলা হয় আর যে শক্তি গুলি ছাত্রদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে
পৌঁছাতে বাধা তৈরি করে সেগুলি নঞর্থক শক্তি বলে । এই দুই প্রকার শক্তির যৌথ মিলনে
যে মনোবিজ্ঞান মূলক ফিল্ড তৈরি হয় সেটিই ব্যক্তির শিখনমূলক প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে
তুলতে সাহায্য করে ।
ভাষা শিক্ষণের নীতি
ভাষা শিক্ষণের মূল নীতিগুলি গড়ে ওঠে ভাষাবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে
। ভাষাবিজ্ঞানে থাকে ভাষার নিয়ম আর মনোবিজ্ঞানে থাকে শিখন এর মূল তত্ত্ব । এই
দুইয়ের উপর কেন্দ্র করে ভাষা শিক্ষণের নীতি গুলি আলোচনা করা হয় ।
১) শিক্ষার্থী সম্পর্কে ধারণা গড়ে তোলা---একজন প্রকৃত ভাষা শিক্ষক প্রথমেই বিবেচনা করবেন তিনি কোন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা
দিচ্ছেন বা দিতে যাচ্ছেন । তাদের মানসিক জগৎ ও সামাজিক জগৎ সম্পর্কে তাঁকে অবশ্যই
একটা ধারণা গড়ে তুলতে হবে । এরজন্য দরকার হলে তিনি অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের
সাহায্য নেবেন।একজন শিক্ষার্থীর শিখন প্রক্রিয়ার দিকে শুধু নজর দিলেই শিক্ষকের
দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না বরং তাদের সম্পর্কে বাড়তি কিছু ধারণা পেলে তার শিক্ষণ
প্রক্রিয়া আরও বেশি গতিশীল হবে ।
২) শিক্ষার্থীকে পঠন পাঠনে যুক্ত করা --- ভাষা শিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পঠন
পাঠনের সময় যুক্ত করা । একজন ভাষা শিক্ষক সব সময় নজর দেবেন পাঠদান কালে
শিক্ষার্থীরা যেমন সেই বিষয় সম্পর্কে নিজের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করতে পারে ।
শিক্ষক শুধু পড়িয়ে গেল আর শিক্ষার্থী কোনো বলার সুযোগ পেল না তা যেন না হয় ।
নইলে ভাষা শিক্ষণের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে । ক্লাসের সময় যদি ৪০ মিনিট হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের প্রায় ২০ মিনিট সেই বিষয় সম্পর্কে বলার সুযোগ করে দিতে
হবে। মনে রাখতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সমান অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই ভাষা শিক্ষণ
মজবুত হয় ।
৩) অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া--- ভাষা শিক্ষার আর
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তা অনুশীলন বা চর্চা করা।আসলে আমরা কোনো বিষয় যত চর্চা
করি ততই সেই বিষয় সম্পর্কে আমাদের দক্ষতা বাড়ে ।তাই ভাষা শিক্ষক সব সময় নজর
দেবেন শিক্ষার্থীরা যেন বিষয়গুলি অবশ্যই চর্চার মধ্যে রাখে । এর জন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের
লেখার অভ্যাস বাড়ার দিকে লক্ষ্য রাখবেন ।
৪) চারটি ভাষা দক্ষতার শিক্ষা দেওয়া ---চারটি ভাষা দক্ষতা হলো-- ১) শ্রবণ ২) কথন ৩) পঠন ৪) লিখন। এর মধ্যে শ্রবণ
ও পঠন হলো গ্রহণমূলক দক্ষতা আর কখন ও লিখন সৃজনশীল দক্ষতা ।ভাষা শিক্ষকের প্রধান
কাজ হলো এই বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের ভাষা শিক্ষণের পথকে সুগম করে
তোলা । তিনি এই চারটি ভাষা দক্ষতা কখনো পৃথকভাবে বা কখনো আবার একই সঙ্গে
শিক্ষার্থীদের শেখাবেন ।
৫) ব্যাবহারিক ও অর্থপূর্ণ শিখন---শিক্ষার্থীদের
অভিজ্ঞতালব্ধ বিষয় ও মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে ভাষা শিক্ষক সব সময় শিক্ষার্থীদের
ব্যাবহারিক ও অর্থপূর্ণ শিখন দিতে সক্ষম হবেন । এতে করে শিক্ষার্থীও যেমন শিখনে
আগ্রহী হবে,তেমনি শিক্ষকও বুঝতে পারবে তার শিক্ষণ প্রক্রিয়া ফলপ্রসু হচ্ছে ।
৬) জানা বিষয় থেকে অজানা বিষয়ে যাওয়া -শিক্ষণ প্রক্রিয়ার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি । এই নীতির সাহায্যে একজন
শিক্ষক অজানা বিষয়গুলির সঙ্গে জানা বিষয় গুলির ঠিক কোথায় কোথায় মিল আছে, তা খুঁজে বের করবেন । তারপর নিজের মতো একটা পাঠপরিকল্পনা তৈরি করে ক্লাসে সেই
বিষয় ছাত্র ছাত্রীদের কাছে মেলে ধরবেন । এতে ছাত্র ছাত্রীদের কাছে অজানা বিষয়
বোঝা অনেক সহজ হয়ে উঠবে ।
৭) মূর্ত থেকে বিমূর্ত ধারণার দিকে যাওয়া- কোনো বিমূর্ত বিষয় সম্পর্কে ছাত্র ছাত্রীদের স্পষ্ট ধারণা দিতে হলে প্রথমে
তাদের মূর্ত বিষয়ে ধারণা দেওয়া দিতে হয় । বিশেষ করে ব্যাকরণ শিক্ষাদানের কাজে
এই শিক্ষণ নীতি অনেকটাই কার্যকরী ভূমিকা নেয় । এক্ষেত্রে গ্রামার গেম বিষয়টি
শিক্ষকের মাথায় রাখা জরুরি।এতে করে শিক্ষার্থীদের মনে কোনো বিমূর্ত অথচ জটিল
বিষয় বুঝতে সাহায্য দেয় ।
৮) ব্যাকরণগত দৃষ্টিভঙ্গি - ব্যাকরণ শিক্ষাদানের সময় শিক্ষক অনেক বেশি যত্নবান হবেন ।তাকে লক্ষ্য রাখতে হবে ব্যাকরণ শিক্ষা যেন শিক্ষার্থীদের কাছে বোঝা না হয়ে যায় ।আর তার জন্য
তাকে অবরোহী পদ্ধতি বাদ দিয়ে আরোহী পদ্ধতি দিয়ে ব্যাকরণ শিক্ষাদান করতে হবে ।
যাতে করে শিক্ষার্থী উদাহরণের সাহায্যে নিজেরাই ব্যাকরণের সূত্রগুলি বের করে আনতে
পারে । একেই বলা হয় 'আবিষ্কার তত্ত্ব ’ ।এই
তত্ত্ব অনুসরণ করলে শিক্ষার্থী ব্যাকরণ শিক্ষায় অনেক আনন্দ পাবে, ব্যাকরণকে কখনই তাদের জটিল বলে মনে হবে না ।
৯) ভুল সংশোধনে সংবেদনশীল হওয়া--ভুল থেকে মানুষ
শিক্ষা নেই,
এটা তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি । বরং ভুল না করলে সঠিক জিনিস সহজেই শেখা যায় না ।তাই কোনো কিছু শেখার সময় শিক্ষার্থী
যদি ভুল করে,শিক্ষক তখনই তাকে ভুল সংশোধন করে দেবেন না বা তার ভুল ধরিয়ে দেবেন না ।বরং
একটা সময় অর্থাৎ যখনই তার কোনো কিছু পড়া হবে বা কোন কিছু কাজ করা সম্পূর্ণ হবে, তারপরেই শিক্ষক তার ভুল গুলি শুধরে দেবেন । এতে অনেক সময় দেখা যাবে,শিক্ষার্থী নিজে নিজে কিছুটা ভুল গুলি ধরতে পারছে ।মনে রাখবে,যে চেষ্টা করে তারই ভুল হয় । আর সেই ভুল তাকে একটা সময় কোনো বিষয়ের সঠিক
দিক সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পেতে সাহায্য করে ।
১০) উদাহরণের ব্যবহার--শিক্ষক চেষ্টা করবেন
ক্লাসে কোনো কিছু ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ করার আগে সেই বিষয় সম্পর্কে উদাহরণ দিতে
।কারণ উদাহরণ দিয়ে যে কোনো কিছু বুঝলে সেই বোঝা শিক্ষার্থীর কাছে সহজ হয়।তবে
উদাহরণ যেন প্রাসঙ্গিক হয় সেই ব্যাপারে শিক্ষকের নজর রাখতে হবে ।
ভাষা শিক্ষণের পর্যায়
1. নীতি : ভাষাবিজ্ঞান (ভাষার বিভিন্ন নিয়ম) ও (শিখনের তত্ত্ব) যে নিয়মের উপর ভিত্তি সম্পাদিত হয় করে মনোবিজ্ঞানের মনোবিজ্ঞানীগণ শিশুর চাহিদা, প্রকৃতি, সামর্থ্য প্রভৃতি বিচার করে শিক্ষণের নীতি নির্ধারণ করেন |
2. কৌশল : কাজের কারিগরি বা Mechanism
3. পদ্ধতি : নীতিকে কৌশল বা Mechanism এর মাধ্যমে কাজে পরিণত করা
ভাষা শিক্ষণে শিখন তত্ত্বের প্রয়োগ
1. থর্নডাইকের প্রচেষ্টা ও
ভুল তত্ত্ব
2. প্যাভলভের প্রাচীন
অনুবর্তনবাদ
3. অন্তর্দৃষ্টির গেস্টাল্ট
তত্ত্ব : ওয়ার্দিমার, কোহলার Scoration
4. কার্ট লিউইনের ফিল্ড
থিয়োরি
5. মনোবৈজ্ঞানিক উপায়ে
শিক্ষাদান
6. কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে
শিক্ষাদান
7. শিক্ষা সহায়ক উপকরণের
মাধ্যমে শিক্ষাদান (i) দর্শন যোগ্য (ii) শ্রবণযোগ্য (iii) দর্শন ও শ্রবণ যোগ্য
৪. পাঠ পরিকল্পনা ভিত্তিক পাঠদান
প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষা পঠন পাঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য আত্মপ্রকাশ এবং আত্মপ্রকাশের
একমাত্র মাধ্যম হল ভাষা|
মাতৃভাষা শিক্ষার উদ্দেশ্য মূলত চার প্রকার -
(1) গ্রহণমূলক : বিষয়বস্তুকে সম্যকভাবে অধিগত করা (a) বক্তব্য শুনে বোঝার ক্ষমতা (b) লিখিত ভাষা বোঝার ক্ষমতা
(2)
অভিব্যক্তিমূলক : বিষয়বস্তুকে সম্যকভাবে অধিগত করে তাকে যথাযথ ভাবে প্রকাশ করা (a) বলার মাধ্যমে বক্তব্য প্রকাশ (b) লিখিতভাবে
বক্তব্য প্রকাশ সম
(3) রসসঞ্চারমূলক : সাহিত্যরসের সার্থক উপলব্ধির জন্য বা গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস প্রভৃতির মূল ভাব উপলব্ধির জন্য মাতৃভাষা শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ
(4)
সৃজনাত্মক : শিক্ষার্থীদের কল্পনাশক্তি বিকাশে মাতৃভাষার অনুশীলন ভীষণভাবে প্রয়োজন]
কবিতা,
ছড়া, ছোটো ছোটো গল্প
লেখা বা ছবি আঁকা সবই এর অন্তৰ্গত|
প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষা শিক্ষাদানের প্রয়োজনীয়তা
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীতে মাতৃভাষার উপযোগিতা |
ব্যক্তিগত দিক থেকে মাতৃভাষা চর্চার উপযোগিতা |
জাতীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিতি |
অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার বিকাশ |
বংশগত ঐতিহ্য |
শিশুদের ক্রমবিকাশের বিশেষ সহায়ক |
সামাজিক গুণাবলীর সুষম বিকাশ |
চাহিদা ও আকাঙ্খার পরিতৃপ্তির মাধ্যম |
সুনাগরিকতার শিক্ষা |
ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র গঠনে সহায়ক |
জাতীয় চেতনা ও ভাবগত সংহতি রক্ষার কাজে |
মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য বিষয়ের শিক্ষা |
প্রগতিশীল চিন্তাধারার সঙ্গে পরিচয় |
হাসিকান্না, আনন্দ-বেদনা প্রীতি ভালোবাসার ভাষা |
প্রাথমিক স্তরে ভাষা শিক্ষাদানের বিভিন্ন পদ্ধতি
1. বর্ণক্রম পদ্ধতি ( Alphabetic
Method
2. শব্দক্রম পদ্ধতি (Word
Method)
3. বাক্যক্রম পদ্ধতি (Sentence
Method)
4. ধ্বনি সাম্য পদ্ধতি (Phonetic
Method)
5. গল্প বলা পদ্ধতি (Story -
telling Method)
6. দেখা ও বলা পদ্ধতি (Look and
Say Method )
7. আবৃত্তি পদ্ধতি (Recitation
Method)
৪. লিঙ্গাফোন পদ্ধতি (Linguaphone Method )
প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষা শিক্ষাদানের বিভিন্ন পদ্ধতি
1. কথোপকথন পদ্ধতি
2. আলোচনা পদ্ধতি
3. অনুবন্ধ পদ্ধতি
4 . প্রকল্প পদ্ধতি :
স্তরসমূহ (i)
উদ্দেশ্যস্থাপন (ii) পরিকল্পনা (iii) কর্ম সম্পাদন (iv) মূল্যায়ন
5. অভিনয় পদ্ধতি
6. আরোহী পদ্ধতি : উদাহরণ
থেকে সিদ্ধান্ত বা সূত্র