বাঙালির সংস্কৃত ,অপভ্রংশ ও অবহট্ট সাহিত্য ।। প্রাকচর্যাপদ সাহিত্য
১) মহীপালের
বানগড় লিপিতে প্রথম বাংলা ভাষার আভাষ পাওয়া যায় .
২) বাংলাদেশের
বগুড়ার মহাস্থানগড়ে সংস্কৃত ভাষায় লেখা প্রাচীনতম শিলালিপি পাওযা গেছে, এই লিপিটি
ব্রাম্হী লিপিতে লেখা (মৌর্য্য যুগ)প্রথম এবং দ্বিতীয় দশকে মৌর্য্য যুগে উত্কীর্ণ
হয়েছে.
৩) দ্বিতীয়টি
বাঁকুড়া জেলার শুশুনিয়া পাহাড়ে শিলালিপিটি পঞ্চম শতাব্দীতে রাজা চন্দ্রবর্মা
উত্কীর্ণ করেছিলেন.
গোমিচন্দ্র→ব্যাকরণ/চান্দ্র ব্যাকরণ
→শিষ্যলেখ(ধর্মকাব্য)
→লোকানন্দ(নাটক)
সুভুতিচন্দ্র→কামধেনু
সর্বানন্দ→বন্দোঘটিয় সর্বানন্দের টিকাসর্বস্ব.(অমর কোষের টিকা).
আয়ুর্বেদ গ্রন্থ
পালকপ্য→হাস্তাযুর্বেদ(হস্তি চিকিৎসা সমন্ধীয়).
মাধব→রুগবিনিশ্চয়্.
চক্রপানিদত্ত→চিকিৎসাসার সংগ্রহ.
ন্যায়্দর্শন এবং স্মৃতিমীমাংসা
শ্রীধর→ন্যায়কন্দলী.
ভবদেব→ব্যবহার তিলক, প্রায়শ্চিত্ত প্রকরণ.
জিমুতবাহন→দায়ভাগ,ব্যবহারমাতৃকা.
হলায়ুধ→ব্রাহ্মণ সর্বস্ব.
নাটক
ভট্টনারায়ণ→বেণীসংহার.
মুরারী→অনর্ঘরাঘব.
বিশাখাদত্ত→মুদ্রারাক্ষস.
ক্ষেমিশ্বর→চন্ডকৌশিক.
কাব্য
সন্ধ্যাকর নন্দী→রামচরিত(রামচরিত মানস), রামচন্দ্র (রামপাল,দেবপাল).
অভিনন্দ→রামচরিত.
জয়দেব→গীতগোবিন্দ.
ধোয়ী→পবনদূত(কালিদাসের মেঘদূতের আদর্শে মন্দাক্রান্তা ছন্দে রচিত).
গোবর্ধন আচার্য→আর্যাসপ্তসতী(হালের গাহাসপ্তসাতী আদর্শে রচিত).
চর্যাপদ-এর প্রশ্নোত্তরের জন্য এখানে ক্লিক করুন
সংকলন
সুভাষিত রাত্নকোষ→সংকলক বিদ্যাধর(সংস্কৃত ভাষায় প্রথম সংকলিত কোষ কাব্য). ১৫০ জন কবি ১৭৩৮টি
শ্লোক আছে.
সুদুক্তিকর্ণামৃত(সূক্তিকর্ণামৃত)→বাঙালি সংকলক. ১২০৬খ্রী: শ্রীধর দাস. সংকলনতটিতে ৪৮৫জন কবির ২৩৭০টি শ্লোক আছে.
অপভ্রংশ ও অবহট্ট সাহিত্য
হালের→গাহাসপ্ত্তসতি (গাথাসপ্তসতি)
পিঙ্গলের→প্রাকৃত পৈঙ্গল (ছন্দ শেখার গ্রন্থ)
**অসিত কুমার
বন্দোপাধ্যায় এর মতে কবিন্দ্রবচন সমুচ্চয়ের আসল নাম সুভাষিত রাত্নকোষ.
**সুরেশ চন্দ্র
বন্দোপাধ্যায় তার সংস্কৃত সাহিত্যে বাঙালির দান গ্রন্থে বলেছেন সুভাষিত রাত্নকোষের অংশ বিশেষ হলো
কবিন্দ্রবচনসমুচ্চয়.
**কবিন্দ্রবচনসমুচ্চয়ের
সম্পাদক F.W.Tomas সমগ্র পুঁথিটিকে কবিন্দ্রবচন সমুচ্চয় বলে উল্লেখ করেছেন.
**বানভট্টের
হর্ষচরিত(সপ্তম শতাব্দী) গৌড়ী রীতির উল্লেখ পাওয়া যায়.
**দুটো রীতি →i) গৌড়ী রীতি
ii) বৈদর্ভী রীতি