এক কথায় প্রকাশ
যার সার পদার্থ নেই—অসার।
যা আগে দেখা যায়নি—অদৃষ্টপূর্ব।
অনুকরণ করবার ইচ্ছা—অনুচিকীর্ষা।
উপকার করবার ইচ্ছা—উপচিকীর্ষা।
যা দেখা যায় না—অদৃশ্য।
যা আগে কখনও হয়নি—অভূতপূর্ব।
যার অন্য কোনো গতি নেই—অনন্যগতি।
যা খুব বা অতি দীর্ঘ নয়—অনতিদীর্ঘ।
যা চলে না—অচল।
জলময় স্থান—অনুপ।
যার শত্রু জন্মায় নি—অজাতশত্রু।
যা অপনয়ন করা যায় না—অনপনেয়।
যা কখনও হবে না—অসম্ভব।
অনুসন্ধানে ইচ্ছুক—অনুসন্ধিৎসু।
যা অবশ্যই হবে—অবশ্যম্ভাবী।
বহুর মধ্যে এক—অন্যতম।
উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে—অকৃতজ্ঞ।
যার পুত্র নেই—অপুত্রক।
যে নারীর বল নেই—অবলা।
ডিমের ভেতরকার সাদা অংশ—অণ্ডিল
অন্য গতি নেই বলে—অগত্যা।
সম্পত্তি পরিচালক—অছি।
অন্যের অনিষ্ট কামনা করে উক্তি—অভিশাপ।
যা ভাবা যায় না—অভাবনীয়।
যিনি কারো গর্ভে জন্মাননি--অজ।
অম্বর দ্বারা সুবাসিত—অম্বুরী।
আরও পড়ুন - সারাংশ / সারমর্ম রচনার নিয়ম
পরদ্রব্য হরণ না করা—অস্তেয়।
স্মারক বা পরিচায়ক বস্তু— অভিজ্ঞান।
দার পরিগ্রহ করে নি যে—অকৃতদার।
চোখের কোণ—অপাঙ্গ।
নৌকা চালাবার যন্ত্র—অরিত্র, দাঁড়।
যা বাক্যে প্রকাশ করা যায় না—অনির্বচনীয়।
যে নারীর বিবাহ হয়নি—অনূঢ়া।
ভূমিকম্প প্রভৃতি দৈব উৎপাত—অজন্য।
শোক নেই যার—অশোক।
যে পরে জন্মগ্রহণ করেছে—অনুজ।
যা কখনও নেবে না—অনির্বাণ।
যা খুব দীর্ঘ নয়—অনতিদীর্ঘ।
যে মায়া বা কপটতা জানে না—অমায়িক।
হাতি তাড়াবার জন্য লৌহদণ্ড—অঙ্কুশ।
কোন কিছুতে ভয় নেই যার—অকুতোভয়।
যা কালের আগে পাকা—অকালপক্ক।
যার অধিকার নেই—অনধিকার।
হরিণের চামড়া—অজিন।
যার অন্ত নেই—অনন্ত।
য়ার বসন আলগা—অসংবৃত।
যা নিবারণ করা যায় না—অনিবার্য।
যার তলদেশ স্পর্শ করা যায় না—অতলস্পর্শ।
দৃষ্টির অগোচর—অলখ।
ধনুকে শর যোজনা—অধিরোপণ।
মন্দ পাঠক—অপজ ।
আরোহণ করেছে যে—আরূঢ়।
অশুদ্ধ প্রয়োগ—অপপ্রয়োগ।
যা বলা হয়নি—অনুক্ত।
যে সম্পত্তি স্থানান্তর করা যায়—অস্থাবর।
যে নারীর অসূয়া নেই—অনসূয়া।
যার কুলশীল জানা নেই—অজ্ঞাতকুলশীল,
কুলের যোগ্য—অনুকূল।
আদি ও অন্ত নেই যার— অনাদন্ত্য।
যা শেখানো হয়েছে—অধিগত
যে ব্যক্তি কম কথা বলে—অল্পভাষী।
যিনি তপস্যা ও ব্রতাদিহীন—অতপস্ক।
যে দিন শাস্ত্র অধ্যয়ন নিষিদ্ধ—অনধ্যায়।
কৃষ্ণপক্ষের শেষ তিথি—অমাবস্যা।
যার মুখ দেখলে অমঙ্গল হয় — অনামুখো।
যা দেওয়া যায় না—অদেয়।
যে মমতা জানে না—নির্মম।
যার তল নেই—অতল।
দক্ষিণ দিক—অবাচী।
যে রাজার অধীনে অন্য রাজা আছেন—অধিরাজ।
রূপের যোগ্য—অনুরূপ।
যার কোথাও ভয় নেই—অকুতোভয়।
যার আদি নেই—অনাদি।
যা অধ্যয়ন করতে হবে—অধ্যেতব্য।
দুয়ের মধ্যে এক—অন্যতর।
যা অনায়াসে লাভ করা যায় — অনায়াসলভ্য।
ঈষৎ রক্তবর্ণ—অরুণ।
অসংখ্য অঙ্গুলিময় দেহ বিশিষ্ট প্রাণী—অঙ্গুলিমাল।
অচ্ছ উদক যার—অচ্ছোদ।
যা চিন্তা করা যায় না—অচিন্ত্য ।
যার দাঁড়ি গোফ ওঠে নি—অজাতশ্মশ্রু।
যা বিভাজিত হচ্ছে—অংশ্যমান
যা দমন করা যায় না—অদম্য।
গুরুগৃহে যে বাস করে—অন্তেবাসী।
যার কিছুই নেই—অকিঞ্চন।
যিনি পূর্বে অধ্যাপক ছিলেন—অধ্যাপকচর।
যা প্রমাণ করা যায় না—অপ্রমেয়,
আরোহণ করেছে যে—আরূঢ়।
যা আগে দেখা যায়নি—অদৃষ্টপূর্ব।
যা পরিহার করা যায় না—অপরিহার্য।
পাঁচ থেকে দশ বছরের বালক—অপোগণ্ড।
চন্দনাদির দ্বারা মুখস্ত্রি—অলকাতিলকা।
অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা—অনুসন্ধিৎসা।
যা পূর্বে চিন্তা করা যায়নি—অচিন্তিতপূর্ব।
যা চিরস্থায়ী নয়—অনিত্য, নশ্বর।
যে আগে জন্মগ্রহণ করেছে—অগ্রজ।
দাঙ্গা-হাঙ্গামা-খুন-জখম যেখানে ঘটেছে—অকুস্থল।
যে নিন্দার যোগ্য নয়—অনিন্দ্য।
যার থেকে দান নেওয়া উচিত নয়—অপ্রতিগৃহ্য।
যা প্রমাণ করা যায় না—অপ্রমেয় ।
যা অনুকরণ করা যায় না—অননুকরণীয়।
অন্নের নিমিত্ত দাস—অন্নদাস।
শত্রুকে পীড়া দেয় যে—অরিন্দম।
অহ্ণের অপর ভাগ—অপরাহ্ন।
অশুদ্ধ প্রয়োগ—অপপ্রয়োগ।
যা আগে শোনা যায়নি—অশ্রুতপূর্ব।
যা বাক্য ও মনের অতীত—অবাঙমানসগোচর ।
প্রকৃত কুমার—অকুমার।
যা বিচার বা অনুমানে স্থির হয় না—অপ্রতর্ক।
যাকে পরাভূত করা যায় না—অপরাজেয়।
প্রেতোদ্দিষ্ট দান গ্রহণকারী পতিত ব্রাহ্মণ—অগ্রদানী।
নিকৃষ্ট ব্যক্তি—অজন।
চতুরঙ্গ সেনা বিশিষ্ট বাহিনী—চতুরঙ্গ।
ষড়ঙ্গ বেদ অধ্যয়নকারী—অনুচান।
সরু ধান—অনুব্রীহি।
শ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে ইষ্টনাম জপ—অজপা ।
অসম্ভব ঘটনা যিনি ঘটাতে সমর্থ—অঘটন-ঘটন পটিয়সী,
মন্দ পাঠক—অপজ। .
অপত্য থেকে বিশেষ বা আলাদা না করে–অপত্যনির্বিশিষে।
কিছুদুর যাওয়া—অনুক্রমে।
যে স্ত্রীর স্বামী পুনরায় বিবাহ করে–অধ্যুঢ়া।
শিষ্যের শিষ্য—অনুশিষ্য।
দ্বিতীয়বার বিবাহকারীর প্রথমা স্ত্রী—অধিবিন্না।
গঙ্গার সমীপে— অনুগঙ্গ।
যে নারী কখনো সূর্য দেখেনি—অসূর্যম্পশ্যা।
যার কোনো উপায় নেই—অনন্যোপায়।
যে ভূমি শত্রুর পক্ষে যুদ্ধের যোগ্য নয়—অযোধ্যা।
যা আগে হয় নি—অভূতপূর্ব।
অবিবাহিতা জ্যেষ্ঠা বর্তমানে বিবাহিতা কনিষ্ঠা—অগ্রেদিধিষু।
বায়ুর অনুকূলে–অনুবাত।
অপকার করবার ইচ্ছা—অপচিকীর্ষা।
যার অন্য দিকে দৃষ্টি নেই—অনন্যদৃষ্টি।
উচ্চ বর্ণের পুরুষের সঙ্গে নিম্নবর্ণা নারীর বিবাহ—অনুলোম
বিবাহ।
যাকে বারবার দেখেও আশ মেটে না—অসেচনক।
ঊর্ধ্ব থেকে নিম্নে গমন—অবতরণ।
যা আকাশকে লেহন করছে–অভ্রংলিহ।
যে অন্য দিকে মন দেয় না—অনন্যমনা।
অন্তরে নিহিত বা গুপ্ত থাকা যার স্বভাব—অন্তঃশীল।
বাগদত্তা হয়েও যে নারীর অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহ
হয়েছে—অন্যপূর্বা।
ছুঁচ ঠেলবার জন্য আঙুলে পরবার ধাতব টুপি—অঙ্গুস্তানা।
গানের ধুয়া ও আভোগের মাঝখানের অংশ — অন্তরা।
পুজো বিবাহ ইত্যাদির আগে গন্ধ মাল্যাদির দ্বারা
সংস্কার—অধিবাস।
কেউ জানতে পারে না এইভাবে—অজ্ঞাতসারে।
যে এক পঙক্তিতে বসবার অযোগ্য—অপাংক্তেয়।
যা বিনা আয়াসে লাভ করা যায়—অনায়াসলভ্য।
জ্বলন্ত অঙ্গারের চক্রবৎ ঘূর্ণনে সৃষ্ট অগ্নিবলয়—অলাতচক্র
কূপ থেকে জল তোলবার চক্রযুক্ত যন্ত্র—অরঘট
বেদ বিহিত প্রাত্যহিক হোমের জন্য অগ্নিরক্ষা—অগ্নিহোত্র। নি
যা বিনা যত্নে উৎপন্ন হয় – অযত্নসম্ভূত।
যার প্রতিবিধান করা যায় না—অপ্রতিবিধেয়।
আগে যার ঘ্রাণ নেওয়া হয়নি—অনাঘ্ৰাতপূর্ব।
যা অস্ত যাচ্ছে—আড্ডায়মান। যা পূর্বে দেখা
যায়নি—অদৃষ্টপূর্ব।
যার অন্য কোনো সহায় নেই—অনন্যসহায়।
যা পূর্বে চিন্তা করা হয়নি—অচিন্ত্যপূর্ব।
যার অন্য কোনো কর্ম নেই—অনন্যকর্ম। যার পুত্র নেই—অপুত্রক।
কর্মসম্পাদনে যে ক্লেশ অনুভব করে না—অক্লিষ্টকর্মা।
বিনা আহ্বানেই যে আসে—অনাহূত।
যা দেখা যায় নি—অদৃষ্ট। যা দগ্ধ করা যায় না—অদাহ্য।
যা দেওয়া যায় না—অদেয়।
শোনার অযোগ্য—অশ্রাব্য।
যা প্রতিরোধ করা যায় না—অপ্রতিরোধ্য। যা
পরিবর্তন করা যায়
না—অপরিবর্তনীয়।
যার পরিবর্তন নেই—অব্যয়।
ক্রমের অভাব-অক্রম।
যে নারীর ভাবী স্বামী মারা গেছে—অন্যপূর্বা ;
অর্জুনের পুত্র—আর্জুনি।
যে সাধন করা যায় না—অসাধ্য ;
যা উন্নত নয় — অনুন্নত।
অদিতির পুত্র—আদিত্য।
আতপ চাল—আমান্ন।
আত্ম থেকে জন্মে যে—আত্মজ।
যার প্রসব-কাল নিকটবর্তী হয়েছে—আসন্নপ্রসবা।
যা প্রথমে মধুর, কিন্তু পরিণামে নয়—আপাতমধুর ।
পরলোকে যার বিশ্বাস আছে—আস্তিক।
আয়ুর পক্ষে হিতকর—আয়ুষ্য।
অতিথির প্রতি অনুকূল—আতিথেয়।
আতপ থেকে যা ত্রাণ করে—আতপত্র।
হাতি বাঁধার খিলান—আলান।
ঈষৎ কম্পিত—আধুত।
ঋষিদের দ্বারা কথিত—আর্য।
অনভিজ্ঞতার জন্য জরিমানা—আক্কেল-সেলামী।
হাঁটু পর্যন্ত লম্বা—আজানুলম্বিত।
সমস্ত জীবন ব্যাপি—আজীবন।
কান পর্যন্ত বিস্তৃত—আকর্ণবিস্তৃত।
বাল্যকাল থেকে–আবাল্য।
থামের মতো লম্বা—আখাম্বা।
কণ্ঠ পর্যন্ত—আকণ্ঠ।
গ্রীবা পর্যন্ত বিস্তৃত—আগ্রীব।
ঋতুর ভাব—আর্তব।
যাতে নুন নেই—আলুনি।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত— আপাদমস্তক।
সন্ন্যাসীদের আশ্রম—আখড়া।
বিফল মনোরথ হয়ে খেদ প্রকাশ—আফসানো।
অষ্টপ্রহর যা ব্যবহার করা হয়—আটপৌরে।
যে ব্যক্তি বন্দরের কাছে জাহাজ চালাবার ভার নেয়—আড়কাঠি।
উলু উলু ধ্বনি—আলোলিকা।
বালক বৃদ্ধ বনিতা সকলেই—আবালবৃদ্ধবনিতা। ঈষৎ নীল—
আনীল। প্রদীপাদি দ্বারা দেবমূর্তি বরণ—আরত্রিক (আরতি)। ঈষৎ
পীত—আপীত।
যে গাছ কাজে আসে না—আগাছা। আরাধনার যোগ্য—আরাধ্য।
বিষয়কর্ম নির্বাহার্থ আইন-অনুসারে নিযুক্ত
প্রতিনিধি—আমমোক্তার।
আদরের যোগ্য—আদরণীয়।
ঘোড়ায় লাফিয়ে দ্রুতবেগে চলা—আস্কন্দিত।
মৃত্যুর সময় পর্যন্ত—আমরণ।
ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদত্ত অর্থ—আনুতোষিক।
আমের গন্ধ যুক্ত আদা—আমআদা।
শীঘ্র (আশু) গমন করে যে—আশুগ।
যা হঠাৎ ঘটে—আকস্মিক।
যা আরম্ভ হচ্ছে—আরভমান।
যে আট মাসে জন্মেছে—আটাশে।
যে ব্যক্তি আমিষ ভোজী—আমিষাশী।
যিনি আহ্বান করেন—আহ্বায়ক।
যাকে আহ্বান করা হয়েছে—আহূত।
যে আজ্ঞা পালন করে—আজ্ঞাবহ।
মনোহর গন্ধ—আমোদ।
যিনি অগ্নিতে আহূতি দান করেছেন—আহিতাগ্নি।
সবার আগে থাকে যে — আগুয়ান।
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত—আদ্যোপান্ত।
যা আলোচনার জন্য উপস্থাপিত — আলোচ্য।
অরণ্যে জাত—আরণ্যক।
যে আশ্রিতের প্রতি স্নেহশীল—আশ্রিতবৎসল।
যাকে আকর্ষণ করা হচ্ছে—আকৃয্যমান।
যা আয়াস ছাড়াই লাভ করা যায় — অনায়াসলভ্য।
যা আরম্ভ করা হচ্ছে—আরব্ধ।
যার আরাধনা করা হচ্ছে—আরাধ্যমান।
যা ঈষৎ মধুর—আমধুর।
শিশুকাল থেকে—আশৈশব।
সমুদ্র থেকে হিমাচল পর্বত—আসমুদ্রহিমাচল।
যা আয়ু বৃদ্ধি করে—আয়ুষ্কর ।
হাত মুখ প্রক্ষালণ—আচমন।
যা আসবে—আগামী।
ঋজুর ভাব—আর্জব।
যার কিছু নেই—অকিঞ্চন।
যে খাজনা নিয়ে যায়—আরিন্দা।
আচরণ শিক্ষা দেন যিনি—আচার্য।
অনন্তের ভাব—আনন্ত্য।
যা বনে বা জঙ্গলে উৎপন্ন—আদাড়ে।
অতিথির উপযুক্ত—আতিথ্য।
ইন্দ্রকে জয় করেছেন যিনি—ইন্দ্রজিৎ।
ইহার তুল্য:—ঈদৃশ।
হস্তির নেত্র গোলক—ঈষিকা।
অভীষ্ট বস্তুর প্রাপ্তি—ইষ্টাপত্তি।
বাল্যে প্রৌঢ়তুল্য আচরণকারী—ইঁচড়ে পাকা।
নীলবর্ণ পদ্ম—নীলোৎপল।
ইন্দ্রের পত্নী—ইন্দ্রানী।
নীলকান্তমণি—ইন্দ্রন
যা মাটি ভেদ করে ওঠে—উদ্ভিদ।
কূলের নিকটে—উপকূল।
যা বুকে হেঁটে চলে—ঊরগ।
উপদেশ ছাড়া জাত প্রথম জ্ঞান—উপজ্ঞা।
যা বেলা বা তীর অতিক্রম করে—উদ্বেল।
নীল বর্ণের বানর—উল্লুক।
উপকার করবার ইচ্ছা—উপচিকীর্যা।
বাতাসে উড়ে যায় এমন—উদ্বায়ী।
প্রার্থিত বিষয় লাভের জন্য চেষ্টা—উমেদারি।
পিঞ্জর থেকে মুক্ত–উৎপিঞ্জর
বলা হচ্ছে যা—উচ্যমান।
যা বপন করা হয়েছে—উপ্ত।
ক্রমশ নিচু যে পথ—উৎরাই।
জীবন যুদ্ধে টিকে থাকা—উর্দ্ধতন।
যা বলা হয়েছে—উক্ত।
ঊর্না নাভিতে যার—ঊর্ণনাভ
গ্রাম্য—গৃহ উটজ।
বক্ষ আবরক বর্ম—উরস্ত্রাণ।
মুসলমান পণ্ডিত—উলেমা।
উদক পানের ইচ্ছা—উদন্যা।
অন্তবর্ণের পূর্ববর্ণ—উপধা।
উপমন্যুর পুত্র—উপমন্যব।
অবজ্ঞায় নাক উঁচু যার—উন্নাসিক।
প্রভাতে জলপান—উযাপান।
উদিত হচ্ছে—উদীয়মান।
প্রভুশক্তির প্রতিকূলে প্রজা অভ্যুত্থান—উপপ্লব।
ইন্দ্রের অশ্ব—উচ্চৈঃশ্রবা।
শ্বেত পদ বিশিষ্ট মৃগ—ঋষ্য।
ঋতুতে ঋতুতে যিনি যজ্ঞ করেন—ঋত্বিক।
ঋষির মতো—ঋষিকল্প।
গ্রহের কুদৃষ্টি—ঋষ্টি।
মৃগগণ যেখানে নির্ভয়ে নীরব—ঋষ্যমূক।
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি—ঋকথ্।
একবার আহার করেন যিনি—একাহারী।
সধবার লক্ষণ—এয়োতি।
একমতের ভাব—ঐকমত্য।
একাধিক জনের ভোগ্য—এজমালি।
পরস্পর একই কাজে লিপ্ত—একক্রিয়।
হরিণের মতো চোখ যার—এণাক্ষী।
স্বর্ণকারের তুলাদণ্ড—এষনী।
যে কাপড়ের একদিকে নক্সা আছে—একরোখ।
ইক্ষু সম্বন্ধীয়—ঐক্ষ।
একজনের পরিবর্তে যে কাজ করে—এয়োজ।
অন্য নামে—ওরফে।
নির্ধারিত সময়ে—ওয়াদা।
ওষুধ পাওয়া যায় যেখানে—ঔষধালয়।
যে গাছ ফল পাকলে মরে যায় —ঔষধি।
শুক্রাচার্য প্রণীত গ্রন্থ—ঔকনিস।
উপন্যাস লেখেন যিনি—ঔপন্যাসিক।
নামাজের পূর্বে হাতমুখ ধোওয়া—উজু।
বাঘের চামড়া—কৃত্তি।
সন্ন্যাসীদের জলের পাত্র--কমঙুল।
যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে না—কৃতঘ্ন।
পশুহত্যা করে যে— কসাই।
মৃত্যুকালীন ঘাম—কালঘাম ।
সমৃদ্ধ গ্রাম—কসবা।
বিষ্ণু গদা—কৌমেদিকী।
যিনি একবার সন্তান প্রসব করেছেন—কাকবন্ধ্যা।
কোন লেখনের ছেদ্য অংশ—কুপন।
সঞ্চয়বিহীন জীবিকা—কপোতবৃত্তি।
কুরুর পুত্র—কৌরব।
যার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক আছে–কুটুম্ব।
কুত্তির পুত্র—কৌন্তেয়।
যাতে কলম রাখা হয়—কলমদানি।
বিষ্ণুর গদা—কৌমোদিকী।
তেল মিশ্রিত অন্ন বিশেষ—কৃষ্ণর।
রক্তবর্ণ পদ্ম—কোকনাদ।
অগভীর সতর্ক নিদ্রা—কাকনিদ্রা।
কুৎসিত অন্ন—কদন্ন।
নাটকের পাত্রপাত্রী—কুশীলব।
কোকিলের ডাক—কুহু
পাখির ডাক—কূজন।
ময়ূরের ডাক—কেকা।
কৃষি জীবিকা যার—কৃষিজীবী।
পাখীর বাসা—কুলায়।
কি করা উচিত যে নির্ণয় করতে পারে না—কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
কটকে উৎপন্ন—কটকী।
সমুদ্রে জলজাত লবণ—করকচ।
কানের পাশে লম্বিত কেশগুচ্ছ—কাকপক্ষ।
কৃত্তি বাস যার—কৃত্তিবাস।
কৃত্তিকার পুত্র—কার্ত্তিকেয়।
বল্লার কড়া যা ঘোড়ার মুখে থাকে—কড়িয়াল।
কাগজে তৈরী—কাগুজে।
বায়ু সহযোগে শব্দকারী বাঁশ—কীচক।
এক নড়ি চন্দ্রহার—কাঞ্চী।
কন্যা কালে জাত সন্তান—কানীন।
ক্লেশ পাচ্ছে যে—ক্লিশ্যমান।
আকাশে চরে যে— খেচর।
যে খায়—খাদক।
অপরাধের তথা জানবার জন্য গৃহাদি অনুসন্ধান—খানাতল্লাসি।
মাথার টাক—খলতি
খ-কে দ্যুতিময় করে যে—খাদ্যোৎ।
গুড় দিয়ে পচানো তামাক—খামিরা।
যার হস্তাক্ষর সুন্দর—খোশনবিস।
গর্দভের বাসস্থান—খরশাল।
বৃষ্টিহীনতার অবস্থা—খরা।
যা খাওয়া হয়—খাদ্য।
ঘাম ঝরছে এমন—গলদঘর্ম।
মিলের অভাব—গরমিল।
গিন্নীর মতো ভাব—গিন্নীপনা।
গুরুর বাসগৃহ—গুরুকুল।
গোষ্ঠের অধ্যক্ষ—গোবিন্দ।
গরু থাকে যেখানে—গোষ্ঠ।
দিন রাতের সন্ধিক্ষণ—গোধূলি।
গ্রাম রক্ষণে নিযুক্ত—গ্রামিক।
গণ্ডারের মেরুদণ্ডে নির্মিত ধনুক—গাম্ভীব।
যিনি গুণী ব্যক্তির আদর করেন—গুণগ্রাহী।
গুড় মিশ্রিত তামাক—গুড়ুক।
যে সৈন্য কামানের গোলা ছোঁড়ে—গোলন্দাজ।
গর্গমুনির কন্যা—গার্গী।
গ্রহণ করার যোগ্য—গ্রাহ্য, গ্রহণীয়।
মেঘের তুল্য শ্যাম——ঘনশ্যাম।
লম্বা মুখ কুমীর—ঘড়িয়াল।
যা ঘন হয়ে আসছে—ঘনায়মান।
ঘ্রাণের যোগ্য—ঘ্ৰেয়।
অশ্বাদির নাসিকা—ঘোনা।
ঘা ঘেয়ে যে অভিজ্ঞ—যাগী।
যা দিয়ে ঘোঁটা হয়—ঘোটনা।
যে ঘোড়ার ঘাস কাটে—ঘেসেড়া।
যা ঘুরছে—ঘূর্ণায়মান।
চণকের পুত্র—চাণক্য।
চাঁদের সঙ্গে যুক্ত—চান্দ্রেয়।
ক্রীড়নশীল তরঙ্গ—চলোমি।
চৈত্র মাসের ফসল—চৈতালি।
চক্রাকারে সৈন্য স্থাপন—চক্রাব্যুহ।
ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ – ছলচ্ছল।
যে ছিদ্র খুঁজে বেড়ায়—ছিদ্রান্বেষী।
করবার ইচ্ছা—চিকীর্ষা।
যা চুষে খেতে হয়—চুষ্য।
চক্ষুলজ্জাহীন ব্যক্তি—চশমখোর।
চারজন বাহিত শিবিকা—চতুর্দোলা।
চলছে এমন ছবি—চলচ্চিত্র।
চুলে চুলে টেনে যে ঝগড়া—চুলোচুলি।
নৌকাকৃতি পুষ্পকোষ——চুমরি।
যে মন্দিরে চিতা ভস্ম থাকে—চৈত্য।
যে মুদিখানায় থাকার ব্যবস্থা আছে—চটি।
গোড়া থেকে মকদ্দমা বিচারের জন্য দ্বিতীয়বার আবেদন—ছানি।
চৌত্রিশ অক্ষরের স্তব—চৌতিশা।
যিনি চার বেদের অধিকারী—চতুর্বেদী।
যা চিবিয়ে খেতে হয়—চর্ব্য।
চার চালা বিশিষ্ট ঘর—চৌচালা ।
হস্তি, রথ, অশ্ব ও পদাতিক সৈন্যের সমাহার—চতুরঙ্গ।
ভূমির সীমা নির্ধারণ—চকবন্দী।
বেতনের পরিবর্তে দেয় জমি—চাকরান।
পেয়াদা, ইত্যাদি পরিচয়জ্ঞাপক ধাতুপট্ট—–চাপরাস।
ছাদের ওপরের ঘর— চন্দ্রশালা।
ধনুকের ছিলা—জ্যা।
বীণার ধ্বনি—ঝংকার।
অন্যের জন্য দায়িত্ব নেওয়া—জামিন।
জাপানী মল্লবিদ্যা—জুজুৎসু।
বিড়ালের মিউ মিউ—জিবন।
গমনের ইচ্ছা—জিগমিষা।
যা গতিশীল—জঙ্গম।
ঝট করে টান—ঝটকা
জানিবার ইচ্ছা—জিগীষা।
পরের পাতায় হিসাবের অঙ্ক টানা—জের।
জলে জন্মে যা—জলজ।
শিশুকে ভয় দেখাবার জন্য কল্পিত জীব—জুজু
বীজ বপনের উপযুক্ত সময়—জো।
ফরাস, বিছানা ইত্যাদির
চাদর—জাজিম।
সূক্ষ্ম সোনালী বা রূপালী তারের সূতো—জরি।
হরণ করার ইচ্ছা—জিহীর্ষা।
জমদগ্নির পুত্র–জামদগ্ন্য।
জলাশয়ের ওপর তৈরী ঘর—জলটুঙ্গি।
যে পূর্ব জন্মের কথা মনে রাখতে পারে—জাতিস্মর।
অকর্মণ্য বৃদ্ধ—জড়দগব
ইন্দ্রিয়কে যিনি জয় করেছেন—জিতেন্দ্রিয়।
জবলার পুত্র—জাবালি।
জানার যোগ্য—জ্ঞাতব্য।
যা জ্বলছে—জ্বলন্ত।
জড়ের ভাব—জড়তা।
মন্দির ও নাট মন্দিরের মাঝখান—জগমোহন।
ধনুকের শব্দ—টংকার।
ঠাকুরের ভাব—ঠাকুরালি।
যা সহজেই ভেঙ্গে যায়—ঠুনকো,
কিছু বলতে আটকায় না যার—ঠোঁটকাটা।
ঠেঙিয়ে যারা দস্যুতা করে—ঠ্যাঙাড়ে।
বাসি নয় এমন —টাটকা।
ডিহির শাসক—ডিহিদার।
ডাক বহনকারী কর্মচারী—ডাকহরকরা।
ডাইনিকে যে পেটার মত সাহস করে—ডানপিটে।
শিবের বাদ্যযন্ত্র—ডমরু।
ডাকাতের মতো বুক যার—ডাকাবুকো।
যা ডুবে যাচ্ছে—ডুবন্ত।
সুদে টাকা খাটানো—তেজারতি।
ঠেসান দেবার বালিশ—তাকিয়া।
তিন ভাগের এক ভাগ—তেহাই।
কৃষককে প্রদত্ত ঋণ—তাকাবি।
পুরুষের উদ্দাম নৃত্য—তাণ্ডব।
তোষণের দ্বারা আমোদ সৃষ্টি—তোষামোদ ।
মুসলিম জাতির বিবাহ বিচ্ছেদ—তালাক।
পিতৃলোকের প্রীত্যর্থে জলদান—তৰ্পণ।
ছুতোরের কাজ—তক্ষণ।
খাজনার তালিকা—তৌজি।
তাড়াতাড়ি গমন করে যে—তুরগ।
তিন তিথিকে পূর্ণ করে এমন দিন—ত্র্যহস্পর্শ।
ত্যাগ করার ইচ্ছা—তিতিক্ষা।
তামার মতো—তামাটে।
তস্করের কাজ—তাস্কর্য।
তিন অবয়ব যুক্ত—ত্রিতয়।
ত্যাগ করতে ইচ্ছুক—তিতিক্ষু৷
তিমিকে গিলে ফেলে যে প্রাণী—তিমিঙ্গিল।
মাটির তলার ঘর—তয়খানা।
জমির সীমানার বিবরণ—তায়দাদ।
একসঙ্গে নৃত্য, গীত বাদ্য—তৌর্যত্রিক।
ওজন করে যে ব্যক্তি—তৌলিক।
অনুচিত বাক্যের প্রত্যাহারসূচক শব্দ—থুড়ি।
জনহীন বিশাল মাঠ—তেপান্তর।
দ্রুপদের কন্যা---দ্রৌপদী
দুটি পাহাড়ের মধ্যে নীচু জমি—দ্রোনি।
দেখার ইচ্ছা—দিদৃক্ষা।
দক্ষ রাজের কন্যা–দাক্ষায়নী।
দেবকীর পিতা—দেবক।
দ্বীপে উৎপন্ন—দ্বৈপায়ন।
দশরথের পুত্র—দাশরথি।
স্বপ্নে শিশুর হাসি কান্না—দেয়ালা
দিনের শেষ—দিনন্ত।
দান করার ইচ্ছা—দিৎসা।
যাতে দূরবর্তী ঘটনা দেখা যায়—দূরদর্শন।
ভিক্ষার অভাব—দুর্ভিক্ষ।
গ্রন্থাদির টীকা—দীপিকা।
দুই পুত্রের জননী—দ্বি-পুত্রিকা।
জায়া ও পতি—দম্পতি।
দাম উদরে যার—দামোদর।
মাসিক বেতন—দরমাহা।
যে ধুয়া ধরে—দোয়ার।
দুই রথীর যুদ্ধ—দ্বৈরথ।
দুই মায়ের সন্তান—দ্বৈমাতুর।
দ্বার রক্ষার জন্য নিযুক্ত—দৌবারিক।
ছাদ যুক্ত তোরণ—দেহলি।
যিনি দুবার জন্মগ্রহণ করেছেন—দ্বিজ।
দুই বেদের অধিকারী—দ্বি-বেদী।
যে জমিতে দুবার ফসল ফলে— —দোফসলী।
দ্রোণের পুত্র—দ্রোণি।
দুবার ফলে যে গাছ—দোফলা।
প্রমাণ স্বরূপ কাগজপত্র—দলিল।
ধনুকের অগ্রভাগ—–ধনুষ্কোটি।
অন্ধকারের শত্রু—ধ্বান্তারি।
ধারণ করে আছে এমন—ধারয়িষ্ণু।
দাম থেকে ছাড় দেওয়া—ধরাট।
যে উৎসব ধূলায় ধূসর হয়ে সম্পন্ন হয়—ধূলোট।
ধুরকে ধারণ করে যে— ধুরন্ধর।
ননদের স্বামী—নন্দাই।
নিয়ে যায় যে—নায়ক।
নির্মাণের ইচ্ছা—নির্মিত্সা।
বিঘ্নহীন—নির্বিঘ্ন।
নব বিবাহিতা—নবোঢ়া।
যা মঞ্জুর হয়নি—নামঞ্জুর।
চক্রের প্রান্তভাগ—নেমি।
যে লেখা নকল করে—নকলনবীশ।
রোগের হেতু নির্ণয়—নিদান।
সূত্রে গাঁথা কাগজপত্র—নথি।
পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে দেওয়া পিণ্ড, জলাদি—নিবাজ।
যা চিরস্থায়ী নয়–নশ্বর।
কষ্টিপাথরে ঘষে পরীক্ষিত—নিকষিত।
হাতির পা বাঁধার শেকল—নিগড়।
অনন্যমনে প্রগাঢ় ধ্যান—নিদিধ্যাসন।
নিতান্ত দগ্ধ হয় যে ঋতু—নিদাঘ।
নার অর্থাৎ জল অয়ন যার—নারায়ণ।
যার নাক চেপ্টা—নতনাস।
যার বালকত্ব এখনো কাটেনি—নাবালক ।
মুসলমান ধর্মবিহিত উপাসনা—নামাজ।
অঙ্ক করবার স্মারক তালিকা—নামতা।
একান্ত অনুগত—নেওয়া।
খেয়া পার করে যে—পাটনী।
পাখির ডানা—পতত্র।
পর্বতের কন্যা—পার্বতী।
মৃত্যু কামনায় উপবাস—প্রায়োপবেশন।
পদ্ম নাভিতে যার—পদ্মনাভ।
ভগবান বিষ্ণুর শঙ্খ—পাঞ্চজন্য।
শ্বেতবর্ণ পদ্ম—পুণ্ডরীক।
পৃথার পুত্র—পার্থ।
হাস্যরসাত্মক নাটক—প্রহসন।
পাণ্ডুর পুত্র—পাণ্ডব।
রাঁধবার যোগ্য—পাচ্য।
পঙ্ক বা পাঁকে জন্মে যা—পঙ্কজ।
ময়ূরের বিস্তৃত পক্ষ—-পেখম।
সকালের আহার—প্রাতঃরাশ।
পেতে ইচ্ছুক—প্রেপ্স্ ।
পা ধোওয়ার জন্য যে জল—পাদ্য।
যে পায়ে হেঁটে গমন করে—পদ্মগ।
দুগ্ধবতী গাভী—পয়স্বিনী।
যে নারীর পুনরায় বিবাহ হয়েছে—পুনর্ভূ।
পা মোছার আস্তরণ—পাপোশ।
পুত্র লাভের আশায় যজ্ঞ—পুত্রেষ্টি।
জলের মত পাতলা—পররা।
যে লাফিয়ে চলে—প্লবগ। পানের যোগ্য—পেয়।
যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে—প্রোষিতভর্তৃকা।
প্রধানের ভাব—প্রাধান্য।
যিনি নিজেকে পণ্ডিত মনে করেন—পণ্ডিতম্মন্য।
সন্ন্যাসীর পরিব্রাজন—পর্যটন।
রাত্রির সূচনা কাল—প্রদোষ।
পাটের মতো রঙ—পাটল।
গাছের পাতায় তৈরী পাত্র—পত্রপুট।
শত্রুকে পীড়া দেয় যে—পরন্তপ ।
হাতির পায়ের মতো মোটা থাম—পিল্প।
যুদ্ধের ঢাকের শব্দ—পটহ।
সমতার অভাব—বৈষম্য।
বধ করার যোগ্য—বধ্য।
হাতীর ডাক—বৃংহণ।
কুকুরের ডাক—–বুক্কন।
নাসিকা বিহীন ব্যক্তি—বিগ্র।
বালকের বিপদ—বালাই।
বিনতার পুত্র—বৈনতেয়।
বিমাতার পুত্র—বৈমাত্রেয় ।
বৎসের পুত্র—বাৎস্যায়ন।
বসুদেবের পুত্র—বাসুদেব।
ব্যাপিতর ইচ্ছা—বীপ্সা।
বরাহ বা বরার মতো ক্ষুর যার—বরাখুরে।
বারো মাসের কাহিনী—বারমাস্যা।
যা খেলে দাস্ত হয়—বিরেচক
বলার যোগ্য—বক্তব্য।
বিধান করে যে—বিধায়ক।
ধুরা ভেঙ্গেছে যার—বিধুর।
সন্তানহীন বিধবা—বেওয়া।
শুক্লা প্রতিপক্ষের চাঁদ—বালেন্দু।
ব্যাসের অপত্য—বৈয়াসকি।
ব্যাস প্রণীত—বৈয়াসিক।
যে অতিরিক্ত কথা বলে—বাচাল।
যে নারীর সন্তান হয়নি—বাঁজা।
ঝোলা গুড়—ফানিত।
যে ব্যক্তি অত্যন্ত শৌখিন বেশভূষা করে—ফুলবাবু।
যা ফুটছে—ফুটন্ত। ফল ধরে যে গাছে—ফলন্ত।
মুসলমান ধর্ম অনুসারে উপাসনা—ফয়তা।
জয়ার অতিরিক্ত খরচ—ফাজিল।
যে ব্যক্তি বৃথা কর্তৃত্বের ভাব করে—ফোপরদালাল।
জ্যোতিষীর নির্ধারিত মৃত্যুযোগ—ফাঁড়া
বলবার ইচ্ছা—বিবক্ষা।
প্রবেশের ইচ্ছা—বিবিক্ষা।
বনে জাত যা—বনজ। অতিশয় ভীত—বিত্রস্ত।
সমুদ্রের আগুন—বাড়ব। পায়রার খোপ—বিটঙ্ক।
পুরুষের কর্ণভূষণ—বীরবৌলি।
যা শল্যব্যথা দূর করে—বিশল্যকরণী।
বহ বল্লভ যে নারীর—বহবল্লভা।
ঘটা করে আরম্ভ—বহুারম্ভ।
বহু সন্তানবতী দুঃখিনী নারী—বালপুত্রিকা।
আইন ভেঙ্গে যা হয়— বিহায়ক।
যে ভূমিতে চরে—ভূচর।
যা অবশ্যম্ভাবী ভাবে ঘটবে—ভবিতব্য।
যা বিভক্ত হচ্ছে—ভজ্যমান।
ভরণের যোগ্য—ভৃত্য।
বহুর ভাব—ভূমা।
সম্পৎ কালের বন্ধু—ভ্রামরীমিত্রতা।
যা আগে ছিল। নেই—ভূতপূর্ব।
ভৃগুর পুত্র—ভার্গব ।
যে সহজেই ভয় পায়—ভীরু।
ভগিনীর পুত্র—ভাগিনের, ভাগ্নে!
ভরণের যোগ্যা—ভার্য্যা।
যিনি অনেক দেখেছেন—ভূয়োদর্শী।
ব্যাঙের ডাক—মকমকি।
মনুর পুত্র—মানব ।
মুনির ভাব—মৌন।
মরতে ইচ্ছুক—মর্তুকাম ।
পুরুষানুক্রমে ভোগ্য—মৌরসী।
সংযত কেশ—মৌলি।
মুক্তি পেতে ইচ্ছুক—মুমুক্ষু ।
মধু পান করে যে—মধুপ।
মধুজাত সুরা—মধ্বাসব।
মিতার ভাব—মিতালী।
যার স্ত্রী মারা গেছে—মৃতদার।
মরুতের পুত্র—মারুতি।
মৃদুতার ভাব—মার্দব।
গম্ভীর ধ্বনি—মন্দ্র।
মনের মতো দ্রুতগতি—মনোজন।
স্বর্গের গঙ্গা—মন্দাকিনী।
ব্যবসাদারের লাভ—মুনাফা।
পরিব্রাজকের ভিক্ষা—মাধুকরী।
মৃগের জল ভ্রমে তৃষ্ণা যাতে—মৃগতৃষ্ণিকা।
মহুয়া ফুল থেকে তৈরী সুরা—মাধুকী।
গ্রহণ উপলক্ষে যে স্নান—মুক্তিস্নান।
অশ্ব রাখার জায়গা—মন্থরা।
একই সঙ্গে—যুগপৎ।
যদুর পুত্র—যাদব।
ইষ্টকে অতিক্রম না করে—যথেষ্ট।
অত্যন্ত করুণ—যবিষ্ঠ।
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সর্বদাই গমন করে যে—যাযাবর।
যুবতী জায়া যার—যুবজানি।
যে দুজন একই সময়ে একই গর্ভে জন্ম নিয়েছে—যমজ।
যুদ্ধের জন্য ইচ্ছুক—যুযুৎসু।
যজ্ঞসেনের কন্যা—যাজ্ঞসেনী।
এক অষ্টমাংশ ইঞ্চি—যবোদর।
শক্তিকে অতিক্রম না করে—যথাশক্তি।
সাধ্যকে অতিক্রম না করে—যথাসাধ্য।
রাধার পুত্র—–রাধেয়।
রাবণের পুত্র—রাবণি।
আকাশ ও পৃথিবী—রোদসী, দ্যাবাপৃথিবী।
নারীর কটিভূষণ চন্দরহার—রশনা।
যে ব্যক্তি রাতে চোখে দেখে না—রাতকানা।
যে কাঁদছে—রুদ্যমান।
রোজকার উপার্জন - রুজি ।
পূর্ণিমার চাঁদ - রাকা।
বসন্ত কালে যে শস্য কাটা হয়—রবিশস্য।
রঘুর পুত্র—রাঘব,
রুদ্রের পত্নী—রুদ্রানী।
পতিপুত্রযুক্তা নারী—বীরা।
ব্যক্তিগত দৈনন্দিন বিবরণ—রোজনামচা।
বৈষ্ণবদের কপালে আঁকা তিলক—রসকলি।
রাজপথে ডাকাতি—রাহাজানি।
কনুই থেকে মুষ্টি পর্যন্ত হাতের পরিমাণ—রত্নি।
সানাই সহযোগে ঐকতান—রোশনচৌকী।
লাভ করার ইচ্ছা—লিপ্সা।
যা লোকপরম্পরায় শ্রুত—লোকশ্রুতি।
লক্ষবার অগ্নিশুদ্ধ—লাখবান।
যার কথা স্পষ্ট বোঝা যায় না—লোহল।
যার খাজনা দিতে হয় না–লাখেরাজ।
যা লেহন করে খেতে হয়—লেহ্য।
ললাটের অলঙ্কার—ললাটিকা।
নারীর লীলায়িত নৃত্য—লাস্য।
লেহন করা হয়েছে যা—লীঢ়।
লতিয়ে যায় যা—লতানে।
নাভি পর্যন্ত লম্বা হার—ললন্তিকা।
পদাতিক সৈন্য—লশকর।
যা লোভ উৎপাদন করে- লোভনীয়।
আদব কায়দায় চৌকশ কিন্তু নিষ্কর্মা— লেফাফা দুরস্ত।
যা শব্দ করছে—শব্দায়মান।
যা রুচিসম্মত—–—শ্লীল।
শিবের উপাসক—শৈব।
শুনতে পাচ্ছে যে—শ্রুয়মান।
শিবের পত্নী—শিবানী।
অলঙ্কারের ধ্বনি—শিঞ্জন।
শিক্ষা করছে যে—শিক্ষানবীস।
শোনা মাত্র মুখস্থ হয় যার—শ্রুতিধর।
জড়ানো অক্ষরে দ্রুত অথচ পাকা হাতের লেখা—শিকস্ত।
ইক্ষু রস জাত মদ—শীধু।
যে নারী শাস্তি দেয়—শাস্তী।
বিষ্ণুর ধনু—শাঙ্গ।
আগম্ভক সৈন্যদের নিবাস স্থান—শিবির।
কচি ঘাসে ঢাকা জমি—শাদ্বল।
যা শিরে ধারণ করার যোগ্য—শিরোধার্য।
শশী ভূষণ যার—শশিভূষণ
সরোবরে জাত—সরোজ।
গ্রন্থাদির অধ্যায়—স্কন্দ।
যার—সুহৃৎ।
একই গুরুর শিষ্য—সতীর্থ।
শোভন হৃদয়
সুধা ধ্বলিত গৃহ—সৌধ।
সুমিত্রার পুত্র—সৌমিত্রি।
সতী মায়ের সন্তান—সন্মাতুর ।
রাত্রিকালীন যুদ্ধ—সৌপ্তিক।
সর্বদা চারিদিকে ঘুরে বেড়ায়—সতত সঞ্চরমান ।
মাসের শেষ
দিন—সংক্রান্তি।
সরস্বতীর উপাসক—সারস্বত।
সবার উপরে—সর্বোপরি।
সপ্ত পর্ণের সমাহার—সপ্তপর্ণী।
স্মৃতি শাস্ত্রে পণ্ডিত—স্মার্ত।
সতের ভাব—সত্তা।
যা সহজে করা যায়—সুকর।
যা আছে—সৎ।
অন্যকে স্নান করানোর কাজ—স্নাপন।
সান্ধ্যকালীন আহার—সায়মাশ।
উভয় পক্ষের রফা—সোলোনামা।
সাঁঝের ধোঁয়া—সাঁজাল।
সেবা করার উচ্ছা—সিষেবিনা।”
একই সময়ে বর্তমান—সমসাময়িক।
একই স্থানে থাকে—স্থানু।
তৃণাদির গুচ্ছ—স্তম্ব।
পুরুষের কটি বন্ধ—সারসন।
সত্য অথচ প্রিয় বাক্য—সুনৃত।
একই মায়ের গর্ভজাত—সহোদর।
সৃজনের ইচ্ছা—সিসৃক্ষা ।
সর্বাপেক্ষা স্বাদু—স্বাদিষ্ট।
যে নারী অন্যের গৃহে শিল্প কর্ম দ্বারা জীবিকা নির্বাহ
করে—সৈরিন্ধ্রী।
সরসীতে জাত—সরসিজ।
যার অর্ন্ত আছে—সান্ত।
একবার মাত্র যিনি সন্তান ধারণ করেছেন—সকৃতগর্ভ।
সিংহের ডাক—সিংহান।
যিনি আত্মসংযম করেছেন—সংযতাত্মা।
যিনি সব জানেন—সর্বজ্ঞ।
নিজেকে যিনি সৃষ্টি করেছেন—স্বয়ত্তু।
যা হাটে বাজারে বিক্রি হয়—হেটো।
ঘোড়ার ডাক—হেষা।
বাঘের ডাক—হালুম।
ইষ্ট ও অনিষ্ট—হিতাহিত।
হেমন্ত কাল জাত—হৈমন্তিক।
যার ভাতের অভাব—হা-ভাতে।
হাতের মতো আকৃতি—হাতা।
যা কমে আসছে—হ্রাসমান।
যা হৃদয়ে গমন করে—হৃদয়ঙ্গম।
আহ্বান করা হচ্ছে যাকে—হৄয়মান।
সাধারণের জন্য গরম জলের স্নানঘর — হামাম।
ক্ষমা পাবার যোগ্য—ক্ষমার্হ।
হাতড়িয়ে চিকিৎসা করেন যিনি—হাতুড়ে।
ক্ষয়ে যাচ্ছে এমন—ক্ষয়িষ্ণু।