HEADER ADDS

উদ্দেশ্য ও বিধেয় কাকে বলে

উদ্দেশ্য ও বিধেয় কাকে বলে 

উদ্দেশ্য ও বিধেয়

প্রত্যেকটি বাক্যের দুইটি প্রধান অংশ থাকে—একটি উদ্দেশ্য, অন্যটি বিধেয়। 

 বাক্যগঠনের শর্ত 

গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ 

উদ্দেশ্যযাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয় তাকে উদ্দেশ্য বলে । বাক্যের কর্তৃকারকই মূল উদ্দেশ্য। কর্তৃপদটি যখন ঊহ্য থাকে, তখন ক্রিয়াটিকে কে বা কী প্রশ্ন করিলে যে উত্তরটি পাওয়া যায় তাই উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্যের পরিচায়ক পদ যদি কিছু থাকে তাহাকে উদ্দেশ্যের সম্প্রসারক বলে। উদ্দেশ্যের সম্প্রসারক সাধারণতঃ উদ্দেশ্যের পূর্বেই বসে।

বিধেয় – উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলা হয় তাকে বিধেয় বলে ।  মূল উদ্দেশ্য ও উদ্দেশ্যের সম্প্রসারক বাদে বাক্যের অন্য অংশটি হইতেছে বিধেয়। বিধেয় অংশের মূল হইল সমাপিকা ক্রিয়া। মূল বিধেয়ের পরিচায়ক পদা থাকলে তাকে বিধেয়ের সম্প্রসারক বলে।

 

যেমন - “এমনি করে কালো কোমল ছায়া আষাঢ় মাসে নামে তমালবনে।” — বাক্যটিতে ছায়া—মূল উদ্দেশ্য, কালো কোমল - উদ্দেশ্যের সম্প্রসারক, নামে - মূল বিধেয়, এমনি করে আষাঢ় মাসে তমালবনে - বিধেয়ের সম্প্রসারক। বিধেয়ের সম্প্রসারক ক্রিয়াবিশেষণ বা কর্ম, করণ, সম্প্রদান, অপাদান বা অধিকরণকারক হয়।

উদ্দেশ্য দুই প্রকার – (১) সরল উদ্দেশ্য  (২) সম্প্রসারিত উদ্দেশ্য

শুধু উদ্দেশ্যকে নিয়ে সরল উদ্দেশ্য হয় ।  যেমন – সুশীল স্কুল যায় ।

উদ্দেশ্যকে সম্পসারণ করলে তাকে সম্প্রসারিত উদ্দেশ্য বলে ।  যেমন – অনীলের ভাই সুশীল স্কুল যায় ।

 

আবার বিধেয় দুই প্রকার – (১) সরল বিধেয়  (২) সম্প্রসারিত বিধেয়

শুধু সমাপিকা ক্রিয়াকে নিয়ে সরল বিধেয় হয় । যেমন – সুশীল খায়

বিধেয়কে সম্প্রসারণ তাকে সম্প্রসারিত বিধেয় বলে । যেমন – সুশীল হোটেলে ভাত খায়

 

উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্প্রসারণ


মূল উদ্দেশ্যের পূর্বে তাহার পরিচায়ক বিশেষণপদ বসাইয়া উদ্দেশ্যকে সম্প্রসারিত করা হয়। আর, মূল বিধেয়টির পূর্বে কীভাবে, কেমন করিয়া, কতক্ষণ ধরিয়া ইত্যাদি বুঝায় এমন ক্রিয়াবিশেষণ বা কর্ম, করণ, সম্প্রদান, অধিকরণবাচক পদ বসাইয়া বিধেয়টিকে সম্প্রসারিত করা হয়। সম্প্রসারণের কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া গেল।

(ক) রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি রচনা করেন ।

                         এখন রবীন্দ্রনাথ এই মূল উদ্দেশ্যটিকে বিভিন্নভাবে সম্পসারিত করা যেতে পারে -

(১) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ

(২) কবিগুরু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ

(৩) দার্শনিক কবিগুরু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ

আবার গীতাঞ্জলি রচনা করেন বিভিন্নভাবে সম্প্রসারিত করা যেতে পারে -

(১) ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি রচনা করেন ।

(২) ঔপনিষদিক মন্ত্রে সঞ্জীবিত হয়ে ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি রচনা করেন ।